মাটন কাচ্চি, চিকেন বিরিয়ানী, চিকেন চাপ এইসব হাই জাংঙ্ক খাওয়ার পর একটু কোল্ড ড্রিঙ্ক না খেলে কেমন একটা অপূর্নতা থেকেই যায়!!!! তাছাড়া গরমে একটু স্বত্ত্বির জন্য বর্তমানে হাতের নাগালে পাওয়া বিভিন্ন কোল্ড ড্রিঙ্ক একটা বিশাল বাজার ধরে রেখেছে। কিন্তু আমরা কি জানি অতি সহজে আমরা প্রতিদিন কোমল পানীয়ের নামে কি খেয়ে যাচ্ছি!!!!!!!!
কোল্ড ড্রিঙ্ক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়
১. কার্বনেট ওয়াটার
২. চিনি
৩. ক্ষতিকারক এসিড ( ফসফরিক এসিড)
৪. ফুড কালার সহ অন্যান্য।
কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়ার ৫ মিনিট এর মধ্যে ফসফরিক এসিড আমাদের মুখ কে এসিডিক করে তোলে যা আমাদের দাতের #এনামেল কে ক্ষয় করতে সাহায্য করে। কোল্ড ড্রিঙ্ক এ থাকা চিনি পরিমানে হিসাব করলে দেখা যাবে তা ৮ চামচ চিনির সমান। যা আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর পরিমানে ক্ষতিকর কারন লিভার এই বিপুল পরিমান চিনিকে ভাংগতে অনেক সময় নেয়। তাছাড়া কোমল পানীয়তে থাকা ফসফরিক এসিডের কারনে আমাদের এই চিনির মিষ্টতা আমরা অনুভব করতে পারি না। কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়ার ২০মিনিটের মধ্যে সমস্ত চিনি আমাদের শরীরের রক্তে চলে যায়।
চা, কফির মতো কোল্ড ড্রিঙ্ক এ ও প্রচুর পরিমানে ক্যাফেইন থাকে যা ৪০ মিনিট সময় লাগে আমাদের রক্তে মিশতে। ক্যাফেইন এর ফলে আমাদের শরীর প্রানোবন্ত ও চাঞ্চল্য হয়ে উঠে। মস্তিষ্ক থেকে ডোপামিন হরমোন নিসৃত হওয়ার ফলে কাজে উৎসাহ ফিরে আসে। আমাদের হার্ট রেট বেড়ে যায়,ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়, চোখের পিউপিল প্রসারিত হয় ক্যাফেইনের শোষনের কারনে। ৬০ মিনিটের মধ্যে ফসফরিক এসিড, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ক্লোরিনসহ নানা রকমের আয়নিক উপাদান আমাদের ইউরিন এর মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে কিছুক্ষন পর ই আমাদের শরীরে দূর্বলতা দেখা দিতে থাকে আমরা ক্লান্তি অনুভব করি আমাদের শরীর ও আস্তে আস্তে পানিশুন্যতায় ভুগতে থাকে।
নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করার ফলে আমাদের শরীরে মেদ জমতে থাকে, কোলেস্টেরল এর পরিমান বেড়ে যায়, ডায়াবেটিস এর ঝুকি বাড়তে থাকে, ক্যালসিয়াম সহ অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান অতিরিক্ত পরিমানে বের হয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের হাড়ের ঘটনের দূর্বলতা দেখা দেয়, হাড় নরম ও ভংগুর হয়ে পড়ে।
Comments
Post a Comment