ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ভিটামিন ডি একটি ফ্যাট সলিউবল সিকুস্টারয়েড। যার কাজ হচ্ছে আমাদের ইনস্টেস্টাইন থেকে ক্যালসিয়ামকে শোষণ করা । পাশাপাশি এটি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসকেও দ্রবীভূত করে।ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে শিশুদের রিক্যাডস হয় অর্থাৎ দেহের হাড়গুলো ঠিক মতো বৃদ্ধি পায় না, নরম হয়ে যায়, শিশুর বৃদ্ধি হয় না, হাড় বাঁকা হয়ে যায়। ফলে শিশু হাটাচলা করতে পারে না।
আর এর অভাবে বয়স্ক লোকদের হাড় নরম হয়ে যায়। তবে ভিটামিন ডি শুধু হাড়ের স্বাস্থ্যের সঙ্গেই জড়িত না। আরো অনেক রোগের সঙ্গেও এর সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। এই ভিটামিন নিয়ে এখনো গবেষনা চলছে।
এছাড়া মস্তিস্কের সঙ্গে এর সম্পর্ক পাওয়া যাচ্ছে। যেমন : কগনেটিভ ফাংশন অব মেমোরি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে আলাঝাইমার রোগ হতে দেখা যাচ্ছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখতে ভিটামিন ডি সাহায্য করে। এর সঙ্গে অ্যাজমারও একটি সম্পর্ক আছে। যাদের দেহে ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে তাদের অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ করে তাদের মৃত্যুর হার কম থাকে। ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ক্যানসারেরও। কিছু ইমিউন রোগেরও সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক আছে গর্ভধারণ এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গেও।
ভিটামিন ডি আমরা কিভাবে পেতে পারিঃ
১. আমাদের দেশ নাতিশীতোষ্ণ তাই কম বেশী ভিটামিন ডি আমরা রোদ থেকে ই পেয়ে থাকি।
২. সকাল ১০ টার আগে ২০ মিনিট স্নান বাথ করা যেতে পারে।
৩. ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, কলা ও সবুজ শাকসবজীর মধ্যে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
৪. মুরগীর কলিজা, খাসীও গরুর কলিজার মধ্যে ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
Comments
Post a Comment