আমরা সকালবেলা উঠে ই টুস্টব্রাশ মুখে নিয়ে ওয়াশরুমে যাই। হোটেলে পানির বোতল থেকে শুরু করে কাচাবাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সব কিছুই পলিথিন এ করে নিয়ে আসি। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি এই প্লাস্টিক এর তৈরি টুথব্রাশসহ, অন্যান্য প্লাস্টিকের জিনিষপত্র ও পলিব্যাগ অচিরে ই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনার আকারে আমাদের শরীরে খাদ্য শৃংখলের মাধ্যমে প্রবেশ করছে!!!
বিজ্ঞানীরা সামুদ্রিক লবনের মধ্যে ৯০% প্লাস্টিক কনার উপস্থিতি পেয়েছেন। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও স্পেন এর মতো বাঘা বাঘা দেশের সামুদ্রিক লবন পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এই তথ্য দিয়েছেন। যা নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের কপালে ঘাম দেখা দিয়েছে। এই প্লাস্টিক কনা সমৃদ্ধ লবন মানব শরীরে কি কি ক্ষতির দেখা দিতে পারে তা এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেন নি বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে ১২ মিলিয়ন প্লাস্টিক এর জিনিসপত্র সমুদ্রের পানিতে যায় এবং বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১ মিলিয়ন প্লাস্টিক এর জিনিষপত্র বিক্রি হয়। যার মধ্যে সব চেয়ে বেশী বিক্রি হয় পানির বোতল ও স্ন্যাকস। এত্ত বিশাল মার্কেট আর প্রোডাকশান এর কারনে প্লাস্টিকের বোতল রিসাইকেল করা ও অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আরো একটি মজার তথ্য হলো কয়েকদিন আগে খাওয়ার পানির বোতলে ও প্লাস্টিককনার অস্তিত্ব পেয়েছিল একদল গবেষক। তাহলে একবার চিন্তা করুন আপনার আমার ফেলে দেয়া বজ্য পর্দার্থ ই খাদ্যশৃংখল এর মাধ্যমে আবার আমাদের শরীরে যাচ্ছে আর এমন যদি অবস্থা হয় তাহলে আমার আপনার প্রজন্মের জন্য আমরা কেমন পৃথিবীকে রেখে যেতে হচ্ছে তা ভাবার বিষয় এখনই.......
Comments
Post a Comment