সম্প্রতি মানবদেহের ক্ষুদ্রান্তের মধ্যে প্লাস্টিক ক্ণার উপস্থিতি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ইতালী, জাপান, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং অস্টিয়াতে করা গবেষনার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছেন। সাধারনত প্লাস্টিক কনার দৈঘ্য নির্ধারণ করা হয় ন্যানোমিটার এর মাধ্যমে( ১০ ন্যানোমিটার থেকে ১০০ ন্যানোমিটার)। বিজ্ঞানীরা উক্তদেশগুলোর শহরের মানুষের স্টুল(মল) পরীক্ষা করে দেখেছেন প্রতি ১০ গ্রাম স্টুল এ ২০ মাইক্রোগ্রাম প্লাস্টিক কনার উপস্থিতি। এ প্লাস্টিক ক্ণার উৎস কোথায় তা এখনো বলা যাচ্ছে না ৷ তবে আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন থেকে এর উৎস বলে মনে করছেন গবেষকরা। কসমেটিকস, সিনথেটিক কাপড়, পানির বোতল সহ অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে আমাদের শরীরে প্লাস্টিক ক্ণা গুলো আসতে পারে বলে মনে করছেন তারা। এর আগে একটা গবেষনায় দেখা গেছে- প্রতি ১ লিটার পানিতে ১০.৪ মাইক্রোগ্রাম প্লাস্টিক অনু রয়েছে।
প্রতিবছর ৯ বিলিয়ন এর উপরে প্লাস্টিক ব্যাগ সহ অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদিত হয়। আর এর মাত্র ১৪% রিসাইকেল করা হয়। আর ২% রিসাইকেল করা প্লাস্টিক ব্যাগ খাদ্য দ্রব্যের মোড়ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বাকি আর্বজনা হয় সমুদ্রে যায় না হয় মাটিতে থেকে যায়।
মানব দেহে প্লাস্টিক এর কারনে কোন কোন সমস্যা হতে পারে তা এখনো সুনির্দিষ্ট করে গবেষকেরা বলতে পারছে না। তবে সামুদ্রিক প্রানীদের উপর একটা গবেষনায় দেখা গেছে প্লাস্টিকনার কারনে কিংবা প্লাস্টিক জাতীয় ব্যাগকে খাদ্য মনে করে খাওয়ার কারনে অনেক প্রানী প্রতিনিয়ত ই মারা যাচ্ছে। তাছাড়া তাদের হজম সমস্যা সহ প্রজনন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে সামুদ্রিক প্রানীজগত ও হুমকির মুখে আছে। এর একটা ইফেক্ট পড়ছে আমাদের ইকোসিস্টেম এর উপর। যার ফল আমরা হাতে নাতে পাচ্ছি অনেক সামুদ্রিক প্রবাল, সামুদ্রিক ছোট ছোট প্রানী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাহ বিলুপ্তির পথে।
গবেষকেরা মনে করছেন প্লাস্টিক ক্ণা আমাদের শরীরে সাথে সাথে কোন ইফেক্ট না করলে ও ইমিনিউ সিস্টেম দূর্বল হতে হতে হতে একটা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সম্মুখীন করবে। তা হয়তো ক্যান্সার এর মতো খারাপ বিভিন্ন নতুন রোগের জন্ম দিবে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
carry on
ReplyDeleteGo ahea.. Vai❤
ReplyDelete