Arachnophobia হলো মাকড়শাভীতি। এই পৃথিবীতে মানুষের অনেক ভয়ের মাঝে মাকড়শাকেও মানুষ ভয় পায়।
এই পৃথিবীতে ৩০০০ প্রজাতির মাকড়শা আবিষ্কৃত হয়েছে৷ এখনো অনেক প্রজাতি বাকি মাকড়শার রয়েছে বলে জীববিজ্ঞানীরা ও প্রকৃতিবিদেরা মনে করছেন। মাকড়শার জাল নিয়ে অনেক কৌতুহল রয়েছে এখনো বিজ্ঞানীদের মনে কিন্তু সম্প্রতিকালের কিছুর গবেষনায় মাকড়শা জালের কিছু গুরুত্বপূর্ন দিক আবিষ্কৃত হয়েছে আর ভবিষ্যতে এ জাল যে মানবসমাজে একটা বিরাট ভূমিকা রাখবে তাও বিজ্ঞানীরা আশা রাখছেন।
এই পৃথিবীতে ৩০০০ প্রজাতির মাকড়শা আবিষ্কৃত হয়েছে৷ এখনো অনেক প্রজাতি বাকি মাকড়শার রয়েছে বলে জীববিজ্ঞানীরা ও প্রকৃতিবিদেরা মনে করছেন। মাকড়শার জাল নিয়ে অনেক কৌতুহল রয়েছে এখনো বিজ্ঞানীদের মনে কিন্তু সম্প্রতিকালের কিছুর গবেষনায় মাকড়শা জালের কিছু গুরুত্বপূর্ন দিক আবিষ্কৃত হয়েছে আর ভবিষ্যতে এ জাল যে মানবসমাজে একটা বিরাট ভূমিকা রাখবে তাও বিজ্ঞানীরা আশা রাখছেন।
![]() |
জাল বুননের দৃশ্য |
মাকড়শারজাল স্টিল থেকে অনেক বেশী মজবুত। গবেষকেরা বলে থাকেন একটা মাকড়শারজালের সুতা ইস্পাত থেকে ৫ গুন বেশী শক্তিশালী। একটি মাকড়শা অনেক পরিমানে সুতা তার শরীরে সঞ্চয় করে রাখে। বিভিন্ন প্রয়োজন এ সুতা মাকড়শা ব্যবহার করে থাকে। একটা বাগানের মাকড়শা ৭ রকমের সুতা তৈরি করতে পারে। তবে এই সুতাগুলোকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে একেকটি সুতায় বিভিন্ন রকমের প্রোটিন এর সিকুয়েন্স পেয়েছেন। বাসা তৈরির ক্ষেত্রে দেখা গেলো বেশীর ভাগ মাকড়শা ভোর বেলা বাসা তৈরি করে।
মাকড়শাসুতা দিয়ে ওয়াটার বোতল বানানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা যা সম্পূর্ন পরিবেশবান্ধব হবে । তাছাড়া এই সুতা বিভিন্ন বড় বড় ব্রিজের কন্সট্রাক্টশান এ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে কারন এই সুতার স্থিতিস্থাপকতা অনেক বেশী এইকারনে ঝড়, বন্যা ও ভূমিকম্পের মতো প্রকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে ব্রিজকে ও মজবুতভাবে ধরে রাখবে। বেশ কিছু মাকড়শা সুতার মধ্যে বিজ্ঞানীরা এন্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান পেয়েছেন যা ভবিষ্যত এ ওষুধ সেক্টর এ ব্যপক ভূমিকা রাখবে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন নিউরন ও ব্লাড ভেসেলের রোগের জন্য এই সুতা থেকে ওষুধ বানানো সম্বব হবে। তাছাড়া বর্তমানে নিউরোসার্জারি ও চোখের সার্জারী করতে বিশেষ ধরনের সুতা ব্যবহার করা হয় যা মূলতো এই মাকড়শা সুতা থেকে আবিষ্কৃত।
সামরিক ক্ষেত্রে বর্তমান বডি আর্মার 'কেভলার' থেকে ও মাকড়শার সুতার তৈরি বডি আর্মার দুই গুন শক্তিশালী।
তাই বিজ্ঞানীরা জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একটা ধরনের পোকা তৈরি করেছেন এই পোকা গুলো মূলত মাকড়শার মতো করে সুতা বানাবে ( এই পোকা গুলো রেশম পোকার মতো দেখতে অনেকটা) এবং এই পোকাগুলোকে ফার্মে রেখে চাষ করা ও সম্ভব বলে মনে করছেন সংশিষ্টরা।
Comments
Post a Comment