রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন পদ্বতি

ক্যান্সার শরীরের প্রতিরক্ষাব্যাবস্থাকে নষ্ট করে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করে। প্রতিরক্ষার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্থ করে শ্বেত রক্তকণিকার T-cell র একধরনের প্রোটিন। একে বাধাপ্রদানকারী প্রোটিন বাহ 'ব্রেক প্রোটিন ' ও বলে। ব্রেক প্রোটিনকে অকার্যকর করে আবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়, যাতে সে ক্যান্সার কোষকে আক্রমন করতে পারে। 
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত ই কাজ করে চলেছে। এই ধরনের কাজে মূল ভূমিকা পালন করে রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা।  রক্তে কয়েকধরনের শ্বেত রক্তকণিকা থাকে, যার অন্যতম হলো T-cell। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ এ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
বিজ্ঞানী জেমস পি এলিসন ১৯৯০ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের গবেষনাগারে  সেল প্রোটিন CTLA-4  কে পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি ছাড়া আর ও অনেক গবেষক বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন কিন্তু তারা কেউই CTLA-4 কে স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তত্ত্ব দেন,  যা সুস্থ কোষগুলোর জন্য ও হুমকিস্বরুপ হয়ে দাঁড়ায়।
গবেষক এলিসন একটি ভিন্ন এন্টিবডি আবিষ্কার করেন,  যা CTLA-4 এর সাথে যুক্ত হয়ে তাকে অকার্যকর করে রাখতে সক্ষম।  ২০১০ সালে সাফল্যের মুখ দেখেন এলিসন। এই ধরনের তত্ত্ব এখন বর্তমানে ক্যান্সার মেলানোমায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানী তাসুকু হনজো ১৯৯২ সালে সন্ধান পান PD-1 নামের আরেক প্রোটিন। এটাও CTLA-4র  মতো প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কাজে বাধা দেয়। এ বাধা হনজো বিশেষ ধরনের এন্টিবডি প্রয়োগ এর মাধ্যমে বন্ধ করতে পেরেছেন।  বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে হনজোর থেপারী বিশেষ ভাবে ভূমিকা পালন করছে।  এ ধরনের থেরাপীকে বলা হয় 'চেক পয়েন্ট' থেরাপি। হনজোর উদ্ভাবিত থেরাপীর সফল প্রয়োগ হয় ২০১২ সালে। 
T-cell

Comments