প্রোবায়োটিক কি এবং কেন???

 প্রোবায়োটিক হলো এমন কিছু অনুজীব যা আমাদের অন্ত্রে থেকে আমাদের খাবার হজমসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাপটা শুনলে হয়তো চোখ কপালে উঠে যাবে!!!!! আমাদের শরীরে ১০০ ট্রিলিয়ন এর উপর ভালো ব্যাকরিয়ার বাস৷ যা আমাদের চামড়ার উপরসহ শরীরের ভিতরে ও বাস করে।  তাছাড়া ১০০০+ প্রজাতি রয়েছে৷  তবে এই বিশাল ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে সামান্য কিছু প্রজাতি আমাদের শরীরের রোগ সৃষ্টি করে।  এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের শরীরে বিপাকক্রিয়া সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও সাহায্য করে থাকে।বিভিন্ন কারনে উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর পরিমাণ নিদিষ্ট পরিমাণের নিচে নেমে এলে রোগ জীবানু মাথা চাড়া দিয়ে উঠে তার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমানে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া,অনিয়মিত জীবনযাপন, মদ্যপান, ফাস্ট ফুড জাতীয় খাওয়ার খাওয়া, আশ জাতীয় খাওয়ার কম খাওয়া, অতিরিক্ত পরিমানে কোমল পানীয় খাওয়া ইত্যাদি।তাই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে বর্তমানে ডাক্তাররা বিভিন্ন প্রোবায়োটিক সাজেস্ট করে থাকেন। তবে ওষুধ ছাড়াও আমরা অনেক খাদ্যে প্রোবায়োটিক পেতে পারি। বিভিন্ন প্রকারের আশজাতীয় সবজি,  সিমের বিচী, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদিকে বলা হয় প্রি-প্রোবায়োটিকস মানে এই খাবারগুলো প্রোয়োবায়োটিকের বৃদ্বিতে সাহায্য করে। তাহলে আসুন জেনে নি বিভিন্ন প্রকারের প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কেঃ
টক দইঃ টক দই এ রয়েছে ল্যাকটোব্যাসিলাস ও বিফিডোব্যাকটেরিয়া যা আমাদের অন্ত্রের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় কারন এই ব্যাকটেরিয়াগুলো খাওয়ার হজম করতে দারুন সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন এক কাপ টক দই আমাদের ডেজার্ট আইটেম এ রাখা যেতে পারে।
ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেটে রয়েছে এন্টি অক্সিডেট ও প্রোবায়োটিক।
আচারঃ মৌসুমী ফল দিয়ে অনেকে আমরা হরেক রকমের আচার তৈরি করে থাকি। এইসব আচারে ও অনেক উপকারী প্রোবায়োটিক আছে।  তবে অতিরিক্ত তেল ও লবণাক্ত আচার না খাওয়াই উওম। 
পনিরঃ দুগ্ধজাত পনির প্রোবায়োটিক এর খুবই ভালো একটা উৎস। ভিটামিন  বি-কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম ও ক্যালোরিতে ভরপুর এই খাওয়ার।
আমরা জানি অতিরিক্ত সব কিছুই শরীরের জন্য খারাপ। তাই শরিরের ভালোর আশায় অতিরিক্ত পরিমানে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাওয়ার খেলে আমাদের হিতে বিপরীত হতে পারে।  




Comments